হাজার হাজার টিয়া পাখি আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে, কিন্তু কেন?

হাজার হাজার টিয়া পাখি আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে, কিন্তু কেন?

হাজার হাজার টিয়া পাখি আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে, কিন্তু কেন?
হাজার হাজার টিয়া পাখি আসছে ঝাঁকে ঝাঁকে, কিন্তু কেন?

মিজানুর রহমান টনি: ঝকঝকে নীল আকাশে উড়ছে কয়েক হাজার টিয়া পাখি। তাদের দেখে মনে হবে যেন, নীল আকাশে এক টুকরো সবুজের আভা।

ঝকঝকে নীল আকাশে তারা উড়ে বেড়াচ্ছে আপন খেয়ালে। দূর থেকে দেখে মনে হবে যেন, নীলাকাশে এক টুকরো সবুজের আভা। উড়তে উড়তে কখনও বাঁ দিক, তো আবার কখনও ডান দিকে বাঁক নিচ্ছে তারা। উপরে নীলাকাশ, আর নীচে পাকা ধানের সোনালি আভা। এমন আবহে ওরা যেন আনন্দে আত্মহারা। তবে যাদের আনন্দে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে কৃষকদের, তারা হল হাজার হাজার টিয়া পাখি।

বাংলাদেশের চট্টগ্রামের গুমাই বিলে এখন হাজার হাজার টিয়া পাখির যেন মেলা বসেছে। ধানের টানে টিয়াদের ভিড় চোখে পড়েছে। আর তাতেই ফসল ক্ষতির আশঙ্কায় চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।  একঝাঁকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার টিয়া পাখি একসঙ্গে আসছে ওই এলাকায়। যে জমিতে টিয়ার দল বসছে, সেই জমির ফসলের একেবারে দফারফা হয়ে যাচ্ছে।

কৃষকরা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছর ধরেই ওই এলাকায় টিয়া পাখির আনাগোনা বেড়েছে। বিলের পাশে বড় বড় গাছে অস্থায়ী ভাবে বাসাও বেঁধেছে টিয়ারা। লাল রঙের ঠোঁট ছাড়া টিয়া পাখির লেজ, ডানা সবই সবুজ রঙের। তাই গাছে বসে থাকলে সহজে বোঝা যায় না।

চট্টগ্রামের গুমাই বিল শস্যভান্ডার নামে পরিচিত। বলা হয়, ওই বিলে উৎপাদিত ফসল দেশের মানুষের তিন দিনের অন্ন জোগান দিতে পারে। ফলে টিয়া পাখির হাত থেকে কী ভাবে নিজেদের ফসল বাঁচাবেন, এখন তা নিয়েই শশব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply